Advertisement

চাঁদে মানুষের অবিজান,,

    *** ১ম চাঁদে অবতরণের স্মরণে মহাকাশ অনুসন্ধান,,

           ##  চাঁদে মানুষের অবিজান      


👉 চাঁদে অভিযান,,চাঁদ নিয়ে একসময় মানুষের কল্পনা আর কৌতূহলের অন্ত ছিলনা৷ চাঁদকে নিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেছে কত রূপকথার কাহিনী, কত গল্প, ছেলে ভুলানো ছড়া আর গান৷ সেই রূপকথার রহস্যময় চাঁদ  এখন মানুষের হাতের মুঠোয়, যে চাঁদ মেঘের☁ আড়ালে৷ 

লুকোচুরি খেলে,পালিয়ে বেড়ায়, শিশুর আগ্রহ বাড়ায়,সেই চাঁদকে মানুষ আজ জয় করেছে৷ চাঁদের বুকে পদচিহ্ন এঁকে  দিয়ে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে৷ আর বিজ্ঞানের ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন অধ্যায়৷


 👉 ১৯৫৭ সালে  আমেরিকা পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দিল,তারা☆ মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করবে৷ এব্যাপারে তারা  ব্যাপকগবেষণা চালাতে লাগল৷ কিন্তু এর ই মধ্যে ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়ন ( বর্তমানে রাশিয়া)  হঠাৎ কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে  পৃথিবীর সবাইকে অবাক করে দেয়৷ অতঃপর  ১৯৫৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারী আমেরিকা আলফা নামক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাশূন্যে প্রেরণ করে৷ এর পরে আমেরিকা ও রাশিয়া পর পর কযেকটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে৷


 👉(এ্যাপোলো অভিজানঃ) চাঁদে যাওয়ার আসল অভিযান মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাপোলো অভিযানের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল৷ এই এ্যাপোলো সিরিজের প্রথম খেয়াযান এ্যাপোলো- ৭' মহাশূন্যে উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৬৮ সালের ১১ অক্টোবর৷ এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থবার এ্যাপোলো অভিযানের পর পঞ্চম  অভিযানে মানুষের  চাঁদে পোঁছার আকাঙক্ষা পূরণ হয়৷


👉  ( পঞ্চম অভিযানএ্যাপোলো)-১১ঃ বিজ্ঞানের ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই  একটি অবিস্মরণীয় দিন৷ কেননা, এই দিনেই তিনজন নভোচারী  এক দুঃসাহসিক  অভিযানে মহাশূন্যে পাড়ি দেয়৷ এরা হলেন নেইল আর্মস্ট্রং,এডুইন অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স৷ ২১ জুলাই সোমবার বেলা ১২ টা ১৭ মিনিটে প্রথমে নেইল আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে পা রাখেন৷ তার আধা ঘণ্টা পর অলড্রিন চাঁদে অবতরণ করেন৷ মাইকেল কলিন্স নভোযান থেকে এদের চাঁদে অবতরণকে নিয়ন্ত্রণ করেন৷ আর্মস্ট্রংও অলড্রিন অবতরণ করেছিলেন চাঁদের 'শান্তি সাগর নামক স্থানে৷ পৃথিবীর মানুষ তাদের এই চাঁদে অবতরণের অভূতপূর্ব দূশ্য টেলিভিশনের পর্দায়  দেখতে পেরেছিল৷ এভাবেই তারা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিল,  পৃথিবীর মানুষ চাঁদেকে জয় করেছে ৷৷