আমারা সবাই সোচ্চার,বিশ্ব হবে সমতার''
প্রতি বছর বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারাদেশে মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর জাতীয় কন্যাশিশু দিবসটি আড়ম্বরপূর্নভাবে পালন করে আসছে । ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সবাই সোচ্চার,বিশ্বা হবে সমতার' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে কন্যাশিশু দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুসমর্থনের প্রায় ১৬ বছর আগে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করে'' সর্বশেষ ২০১১ সালে প্রাণীয়ত হয়েছে জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ । বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ ১৮ বছরের কম বয়শী শিশু। তাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই কন্যা শিশু।বাংলাদেশে নারীর গড় বিয়ের বয়স ১৫ বছর ৩ মাস।
শিশু অধিকার প্রতিষ্টা ও রাক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলে ও আজ পর্যন্ত অধিকাংশ কন্যাশিশুর বিয়ে হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে। ইউনিসেফের মতে,শিশু বিয়ে হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই সমস্যা প্রকট।
বাংলাদেদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০০৭ এর তথ্য অনযায়ী দেশে এখনো ১৮ বছরের নিচে ৬৬ শতাংশ শিশুর বিয়ে হচ্ছে এবং দুই দশক ধরে এর কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
সরকারের পাশাপাশি সবাইকে শিশু বিয়ে বন্ধ পদক্ষপ নিতে হবে। অপরিনত বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারনের কারনে অপুষ্টির শিকার। শিশু মায়েরা অপুষ্ট সন্তানের জন্ম দেন। এভাবে অপষ্টির দুষ্টচক্র তৈরি ও দেশের সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্থা হয়। বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে তা হচ্ছে গর্ভে কন্যাশিশু থাকায় গর্ভবতীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে। কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বে ও কন্যাশিশু জন্মের দায় জন্মদায়িনী মায়ের ওপর চাপানো হতাশাজনক ও দুঃখের। কন্যা শিশু হিসেবে জন্ম নেওয়াটাই যেন সমাজে পাপ হয়ে দারিয়েছে।
নারীর প্রতি গৃহসন্তাদের ঘটনা শহরের চেয়ে গ্রামেই বেশি। আমাদের সমাজে কন্যার চেয়ে পুত্র সন্তান অধিকার বেশি। গরিব পরিবারে শিশুকন্যাকে অন্যর বাসায় গৃহকর্মীর কাজে পাঠানো হয়। কিন্ত শিশু ছেলেকে পাঠানো হয় স্কুলে। খাবার এর দিকে লক্ষ্য থাকে,মেয়ে শিশুকে বঞ্চিত করা হয়। বালাদেশে শিশু নির্যানের হার উদ্বেদাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কন্যাশিশু ধর্ষণ`ধর্ষণের পর খুন ইত্যাদি। উক্ত নির্যাতন সমূহ দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ শিশুদের উন্নয়ন সুরাক্ষ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্দ্রনালয় প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন করে থাকে। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। ৫ অক্টোবর শিশু দিবস উদযাপন করা হবে ও দিবসটির প্রতিপাদ্য
##শিশুর সাথে শিশুর তরে`
বিশ্ব গড়ি নতুন করে,,,
এছাড়া আগামী দিনগুলো আমরা সবাই সোচ্চার বিশ্ব হবে সমতার## প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় কন্যা শিশুদিবস উদযাপন করা জেনো হয়। সমাজে নারীদের অনেক অবহেলা লাঞ্চনা,নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে নারীরা কোনো দিক দিয়ে আর পিছিয়ে নেই। কারন আজ আমাদের প্রধানমত্রী একজন নারী। বর্তমানে নারীদের ভূমিকা আমাদের দেশেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আজ আমাদের দেশের স্পিকার ও একজন নারী। কর্মক্ষত্রে ও পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেক এগিয়ে নারীরা এখন সব জায়গায় পৌঁছেগেছে।।