বর্তমান বিশ্বের এক বৈজ্ঞানিক বিস্ময়কর হচ্ছে কম্পিউটার৷ বিজ্ঞানের আশীর্বাদ ও বিস্ময়কর আবিষ্কারটি মানুষের জীবনকে আজ চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে৷ কম্পিউটার মানুষের শারীরিক ও মানসিক শ্রমকে করেছে লাঘব, কর্মে এনেছে গতি ও স্বাচ্চন্দ্য৷
কম্পিউটার মূলত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংবলিত যন্ত্রবিশেষ৷ অসীম এর কর্মক্ষমতা,ব্যাপক এর জনপ্রিয়তা৷ কম্পিউটার নামক এ প্রযুক্তি এতই আধুনিক যে, ১৯৬৪ সালের আগে,অক্রফোর্ড,অভিধানে এ শব্দটির অস্তিত্বই ছিল না৷ 'Computer ' শব্দটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে৷
এর অর্থ- গণনা বা গণনাকারী৷ প্রথম দিকে অবশ্য কম্পিউটার কোন জটিল গণনার কাজেই ব্যবহৃত হত৷ সেজন্যই এর নাম হয়েছে কম্পিউটার৷ কম্পিউটারের জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজকে৷ ১৮৩৩-' ৩৫ সালের মধ্যে তিনিই কম্পিউটারের গঠনতন্ত্র তৈরি করেন৷
১৯৪৪ সালে নির্মিত হয় বৈদ্যুতিক কম্পিউটার, যার ওজন ছিল কয়েক টন৷ ১৯৪৬ সালে পেমিল ভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার আবিষ্কার করেন৷ এরপর কম্পিউটারের ক্ষেএে নবযুগের সূচনা হয় এবং দ্রুত বিবর্তনের মাধ্যমে কম্পিউটার আজ আকৃতিতে ছোট এমও বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী এবং দ্রুত কর্মক্ষম হয়ে উঠেছে৷ কম্পিউটারের দুটি অংশ রয়েছে৷
প্রথম,এর হার্ডওয়্যার বা এর কাঠামোগত যন্ত্রিক রৃপ এবং দ্বিতীয়, এর প্রোগ্রাম বা কর্মপদ্ধতি তথা সফটওয়ার৷ হার্ডওয়ারকে মানুষের শরীর ও সফটওয়্যারকে তুলনা করা চলে মানুষের মস্তিষ্কের সাথে৷ কম্পিউটারে নানামুখী কাজের প্রোগ্রাম দেয়া থাকে এবং প্রোগ্রামের সহায়তায় মানুষের নির্দেশ কাজ করে থাকে৷