নারী নির্যাতন এর চিত্র
মা-বোন-বধু আরো কত নামে,
নারী বাঁধে সংসার মমতার দামে।
মমতার বিনিময়ে নারী পেলে নির্যাতন,
ঘরে ঘরে কি করে ছড়াবে মানিক রতন?
মানবতার দুয়ার খুলে বন্ধ করো নির্যাতন,
আলোয় আলোকিত হোক নারীর ভুবন।
নারী পাক তার মানবিক অধিকার,
নারী-পুরুষ পৃথিবীতে সবার সমধিকার।
পুরুষ থাকে বাইরে উপার্জনে ব্যস্ত,
সংসারের দায়িত্ব নারীর উপর ন্যস্ত।
নারী-পুরুষ মিলেমিশে করবে কাজ,
গড়বে তবে এক মঙ্গলময় সমাজ।
নির্যাতনের কবলে হলে নারীর জীবন নষ্ট,
জাতি তবে কেমনে হবে বিশ্ব মাঝে শ্রেষ্ঠ ???
নারী-পুরুষ শত্রু নয়- বন্ধু পরস্পরে,
নারী নির্যাতন শব্দখানি যাক মুছে চিরতরে।
গৃহ নির্যাতন বা পরিবারে সংঘটিত সহিংসতা নামেও পরিচিত) বলতে বিবাহ বা একসাথে বসবাসের মতো পারিবারিক পরিবেশে সংঘটিত সহিংসতা বা অন্যান্য নির্যাতনকে বোঝানো হয়। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সহিংসতার প্রতিশব্দ হিসাবে পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, যা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকা একজন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি করে থাকে এবং বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্কগুলোতে বা একই লিঙ্গ ভিত্তিক সম্পর্ক কিংবা প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী বা সঙ্গীদের মধ্যে হতে পারে। বিস্তৃত অর্থে, শিশু, কিশোর, বাবা-মা বা বয়োজ্যোষ্ঠদর প্রতি সহিংসতাও পারিবারিক সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত। এটি শারীরিক, মৌখিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, প্রজননমূলক এবং যৌন নির্যাতন সহ একাধিক রূপ পরিগ্রহ করে, যেখানে সূক্ষ্ম, জবরদস্তিপূর্ণ রূপ থেকে শুরু করে বৈবাহিক ধর্ষণ, দমবন্ধ, মারধর, নারী জননাঙ্গের বিকৃতি এবং এসিড নিক্ষেপের মতো সহিংস শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত হতে পারে যা অবশেষে পঙ্গুত্ব বা মৃত্যু ডেকে আনে। পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে পাথর মেরে হত্যা করা, গৃহবধূকে অগ্নিদগ্ধ করা, অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যা এবং যৌতুকের কারণে মৃত্যু (যা কখনও কখনও পরিবারের সদস্যদের যোগসাজসে হয়ে থাকে)।
বিশ্বব্যাপী, পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা অধিকাংশই নারী, এবং নারীরাই সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ ধরনের মুখোমুখি হন।[১][২] আবার তারা পুরুষের তুলনায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতাকে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবেও বেশি ব্যবহার করেন।[৩] কিছু কিছু দেশে পারিবারিক সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত বা আইনত অনুমোদিত হিসেবেও দেখা যায়, বিশেষত যদি নারী প্রকৃতই বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেন বা সন্দেহভাজন হন। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি দেশের লিঙ্গ সমতার স্তর এবং পারিবারিক সহিংসতার হারের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ এবং তাৎপর্যপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে, লিঙ্গ সমতা কম থাকা দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতার অনেক হার বেশি।[৪] নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতা সর্বাধিক অবহেলিত অপরাধগুলির মধ্যে একটি ।[৫][৬] পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিকভাবে লজ্জার বিষয় হিসেবে দেখা হয় বলে, পারিবারিক সহিংসতার শিকার পুরুষরা স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা অবহেলিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।[৭][৮][৯][১০]
পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ঘটে থাকে যখন নির্যাতক ব্যক্তি মনে করে যে, নির্যাতন করা এক প্রকার অধিকার, গ্রহণযোগ্য, ন্যায়সঙ্গত বিষয় বা এ বিষয়ে রিপোর্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এটি আন্তপ্রজন্মভিত্তিক সহিংসতার একটি চক্র তৈরি করতে পারে, যাদের মনে হয় এই ধরনের সহিংসতা গ্রহণযোগ্য বা ক্ষমাযোগ্য। অনেক লোক নিজেকে নির্যাতনকারী বা ভুক্তভোগী হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না কারণ তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো অনিয়ন্ত্রিত পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রকাশ হিসাবে বিবেচনা করে।[১১] পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে সচেতনতা, এর উপলব্ধি, সংজ্ঞা এবং দলিলিকরণের বিষয়টি দেশ দেশে ব্যাপকভাবে ভিন্ন। পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই জোরপূর্বক বিয়ে বা বাল্যবিবাহের প্রেক্ষাপটে ঘটে থাকে।[১২]
নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে, নির্যাতনের একটি চক্র থাকতে পারে; প্রথমে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে, তার পরে মিলন এবং শান্তির সময় হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা বিচ্ছিন্নতা, শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ, নির্যাতকের সঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক বন্ধন,[১৩] সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা, আর্থিক সংস্থান, ভয়, লজ্জা এবং বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য পারিবারিক সহিংস পরিস্থিতিতে আটকা পড়তে পারে। নির্যাতনের ফলস্বরূপ, ভুক্তভোগীরা শারীরিক অক্ষমতা, অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা, সীমাবদ্ধ অর্থসংস্থান এবং সুস্থ সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে দুর্বলতার পরিচয় ইত্যাদি নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। ভুক্তভোগীরা মারাত্মক মানসিক ব্যাধি যেমন পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (আঘাত পরবর্তী মানসিক চাপ) অনুভব করতে পারেন। যে শিশুরা সহিংসতাপূর্ণ পরিবারে বসবাস করে তারা প্রায়শই ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোগে, যেমন এড়িয়ে চলা, অযাচিত অতিরিক্ত ভীতি এবং অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, যা পরিণতিতে পরোক্ষ মানসিক আঘাত তৈরিতে অবদান রাখতে পারে।[১৪]
নারীর প্রতি সহিংসতা যেনো একটি নিয়মিত ঘটনা। গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায় দেশের কোথাও না কোথাও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
কিন্তু অনেক ঘটনাই থেকে যায় অন্তরালে।
এসব ঘটনার অধিকাংশই ধামাচাপা পড়ে যায়।
মামলা মোকদ্দমা না করে লোকলজ্জার ভয়ে গোপন রাখা হয় অনেক ঘটনাই।
ফলে এসব নির্যাতনের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়না।
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে না পারলে সমাজে নারী নির্যাতন বেড়ে যায়।
বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিকতার অবক্ষয়ের কারণে নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের মানবিধকার লংঘনের ঘটনা ঘটে।
আর বিচারহীনতা বা ন্যায়বিচারের অভাবে একটি সমাজ ধীরে ধীরে অপরাধ প্রবণ হয়ে ওঠে। এ প্রবণতা দূর করতে হলে সর্বাগ্রে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শুধু আইন থাকলেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা যায়না। আইনের প্রয়োগ জরুরি। সেই সাথে নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নও জরুরি। সামাজিক সচেতনতাতো লাগবেই।
আর্থ-সামাজিক সূচকে আমাদের যতো অর্জন তার পেছনে দেশের নারী সমাজের অসমান্য অবদান আছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতি তথা সামাজিক উন্নয়ন হলেও নারীর অবস্থার তেমন উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে ক্ষমতায়নের প্রশ্নে নারীরা এখনো অনেক পেছনে পড়ে আছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রকে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
এক সময় নারীরা দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করে যেতেন। এখনও সে অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। তবে কিছু কিছু ঘটনা যা আমরা জানছি তা নারীর প্রতিবাদেরই ফল। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশে ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। আর্ন্তজাতিক আইন ও নীতিমালার আলোকে এখানে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংবিধানেও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু আইনের কার্যকর প্রয়োগে ঘাটতি রয়েছে। দুর্বল আইনের শাসন দিয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা যাবেনা। আইনের কঠোর প্রয়োগ লাগবে।
তবে, নারী নির্যাতনের এমন চিত্র শুধু আমাদের দেশেই নয়, উন্নত দেশগুলোতেই বিদ্যমান। উন্নত বিশ্বের নারীরাও পারিবারিক নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ইউরোপে প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন।
বছর তিনেক আগেও ভারতে ৪৪ শতাংশ নারী স্বামী বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যমে নির্যাতনের শিকার হতেন। অবস্থার এখনো খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
আমাদের দেশেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সময়ের সাথে সাথে হয়তো নির্যাতনের রকমফের হয়েছে। মাত্রায় ভিন্নতা আসছে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতন যোগ হয়েছে। যৌতুকের মতো সামাজিক ব্যাধি এখন ছড়িয়ে পড়ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর আরো অংশগ্রহণ জরুরি। শিক্ষায় অগ্রগতি হলেও ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস করতে হবে। উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। সেই সাথে সামগ্রিকভাবে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নটিতো আছেই।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
নারী নির্যাতন বন্ধে করণীয় :
‘নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যয়বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তারুণ্যের কার্যকর অংশগ্রহণ’ এই আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেসবাহ কামাল, গীতি আরা নাসরীন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন।
সভায় বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বর্তমান চিত্র, যৌন সহিংসতার কারণ, উত্তরণের উপায় ও করণীয় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, “আমাদের দেশে সর্বস্তরে নির্যাতনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর নির্যাতনের পরিসর আমরা নিজেরা তৈরি করে দিচ্ছি বলেই আমরা বিচার চাইতে পারিনা।
“বিচারহীনতাকে কোনো না কোনোভাবে বৈধ করে দিচ্ছি বলেই আমরা চুপ করে থাকি। রাষ্ট্র বা সমাজ কিভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা বা বৈষম্যকে ব্যবহার করছে তা আমাদের বুঝতে হবে। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের একটি রায় আছে- প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি কমিটি গঠন করা- সেটির বাস্তবায়ন করতে হবে।”
অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, “নিপীড়ন হচ্ছে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার। নারীকে নির্যাতনের নানা রূপ রয়েছে যার সাথে রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ জড়িত। বাংলাদেশে যৌন নিপীড়ন মহামারি আকার ধারণ করেছে কারণ বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধীকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। রাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ চেষ্টা প্রয়োগ করে অপরাধীকে রক্ষা করছে।”
সাংস্কৃতিকভাবে কিভাবে শিক্ষার্থীদের মননে পরিবর্তন আনা সম্ভব ব্যাপারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি অন্য যে বিষয়গুলো যৌন নির্যাতনের চালক হিসেবে কাজ করে তা হলো মূল্যবোধের অবক্ষয় ও নীতি-নৈতিকতার অভাব।
তরুণ সমাজের এই অবনতির জন্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেজন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘ঢেলে সাজানো’র পরামর্শ দেন, যেখানে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করা হবে।
ধর্ষণ কিভাবে আমাদের মনস্তত্ত্বে কাজ করছে তা বুঝতে না পারলে ধর্ষণকে নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন।
তিনি বলেন, “সাংস্কৃতিক আধিপত্যের কারণে ধর্ষকামী মনস্তত্ব গড়ে উঠছে। তাই পুঁজিবাদী সমাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সবধরনের সহায়তা দেবে।”
আলোচনায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম চলচ্চিত্রকে একটি পণ্য হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, “বিক্রেতা সর্বদা ক্রেতাকে খুশি করতে চাইবে। আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ক্রেতা যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ তাই তাকে খুশি করতে চলচ্চিত্র হয়ে গেছে বাণিজ্যিক আর নারী হয়েছে পণ্য।”
তিনি বলেন, “সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হলেও পাড়ায়-মহল্লায় ক্লাবগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। সরকার ও বিচার বিভাগের সাথে কথা বলে জানতে হবে কেন ধর্ষকের বিচার হবেনা। অনিয়ন্ত্রিত জীবনাচরণ ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।” 😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊
সব ধর্মেই নারীদের প্রতি সম্মান দেয়ার কথা বলা হয়েছে।।
তাহলে আমাদের সমাজে নারীদের সম্মান দেয়া হয় না কেন??
বার বার তারা আমাদের সমাজে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে।। কবে আমাদের এই সমাজে নারীরা মাথা উঁচু করে চলতে পারবে।।
নারীর প্রতি সম্মানবোধ ব্যাপক অর্থবোধক। সাধারণ অর্থে এটি নারীকে সম্মান প্রদর্শনের অনুভূতি বা মনোভাবকে বুঝিয়ে থাকে। আর ব্যাপকার্থেন নারীর প্রতি সম্মানবোধ হলো নারী জাতির প্রতি সম্মানজনক মনোভাব। যেমন সৃষ্টির বিচার নর ও নারীর সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রদান । নারী বলে কাউকে ছোট মনে না করা, নারী হিসেবে কাউকে ঠাট্টা বিদ্রুপ না করা। বরং যথাযথভাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করা। তাদের কাজ করার সুযোগ প্রদান করা তাদের সম্মান রক্ষা করা।।
এক জন নারী যদি তার পরিবারের সমস্ত কাজ সামলাতে পারে তারা আমাদের সমাজ কে সামলাতে পারবে।।
কিছু লোক আছে যারা নারীদের সম্মান করতে জানেনা তাদের কারোনেই পৃথিবীতে নারী সমাজ এখনো পিছিয়ে।।
নারীর প্রতি সম্মানবোধ মানুষের উত্তম মনমানুসিকতার পরিচয়।।
শুধু অন্তর দ্বারা সম্মান ও মর্যাদা দেলেই চলবেনা।।
বরং নিজের কাজ কর্ম ও আচার ব্যাবহার দ্বারা এর প্রমাণ দিতে হবে।
আমাদের পরিবারে ও আত্নীয় স্বজনের মধ্যে যেমন মা, মেয়ে,বোন,স্ত্রী,দাদি,ফুফু ,খালা রয়েছে।।
এদের সাথে সুন্দর ব্যাবহার করা যথাযথ শ্রদ্ধা সম্মান ও মায়া-মমতা প্রদর্শন করা।।
আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় দেখতে পাই।
যাদেরকে দিয়ে এই নারী সমাজকে রক্ষা করার কথা তাদের হাতে ধর্ষণ হচ্ছে নারীরা ।।
তাহলে নারীরা আর কাকে বিশ্বাস করবো।।
আমরা কাদের হাতে তুলে দিবো এই নারী সমাজ গড়ার দাহীক্ত)।।
আমাদের মানুষিক তার পরিবর্তন আনতে হবে।।
নারীদের প্রতি যথাযথ ভাবে সম্মান দিতে হবে।।
মানবাধিকার অগ্রগতি ও প্রগতির একুশ শতকে ধমীয় বাঁধা সামাজিক কুসংস্কার কাটিয়ে নারীকে এগিয়ে আসতে হবে মানুষের ভূমিকায়।।
আলোকিত মানুষ হিসেবে তাদেরকে গড়ে উঠতে হবে।।
যুগে যুগে ধরে যে নারী চোখের জলের কোনো মূল্যে পায়নি, আধুনিক সমাজে সে নারীকে অন্যয় এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই সমাজ ফিরে আসবে নারীদের সম্মান।।।।